স্মার্টফোনের একটি ক্লিকেই রঙিন দুনিয়ায় প্রবেশ করা যায়। গেমস থেকে রিলস, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, বিভিন্ন ভিডিওর আকর্ষণ এড়ানো সত্যিই কঠিন। তাই মানুষ ধীরে ধীরে এই গ্যাজেটে আসক্ত হয়ে পড়ছে। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলে বা ইন্টারনেটে বুঁদ হয়ে থাকা কোনো কাজের কথা নয়। এতে শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি মানসিক ক্ষতিও হচ্ছে। অনেকেই মোবাইল ও ইন্টারনেটের দুনিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছেন। বিপদ আসার আগেই নিজে থেকেই সাবধান হওয়া উচিত। কীভাবে বুঝবেন আপনি ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়েছেন?
স্মার্টফোনে আসক্তির সতর্কবার্তা: কীভাবে বুঝবেন
১. সারাদিন অন্য কাজের চেয়ে যদি মোবাইলেই বেশি মনোযোগ থাকে, তবে সতর্ক হতে হবে। কাজের ফাঁকে একটু মোবাইল দেখা এক রকম, কিন্তু যদি সারাদিন মোবাইলে ব্যস্ত থাকেন এবং কাজের কাজটাই কম হয়, তবে নিজেকে সংযত করতে হবে।
২. যদি ক্রমাগত মনে হয় যে সামাজিক মাধ্যমে যে পোস্টটি করেছেন তাতে কতজন লাইক দিল বা দেখল, তবে ভাবুন, আপনার এই সামান্য জিনিস নিয়ে এত বেশি চিন্তা করা স্বাভাবিক কিনা? যদি অন্য কোনো কাজেই মন না বসে এবং মোবাইলেই ধ্যানজ্ঞানে মগ্ন থাকেন, তাহলে বুঝতে হবে ধীরে ধীরে আসক্তির দিকে এগোচ্ছেন।
৩. বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটানোর চেয়ে যদি নেটদুনিয়ার আকর্ষণ বেশি হয় এবং তা এড়ানো সম্ভব না হয়, তবে বুঝবেন আপনার নেট আসক্তি বাড়ছে।
বিপদের লক্ষণ: মাদকের মতোই, ইন্টারনেট আসক্তির ফলেও মানুষ ডিজিটাল দুনিয়াতেই ভালো লাগা এবং আশ্রয় খোঁজেন। সবসময় তেমন একটি জগতে বিচরণ করতে করতে বাস্তব জগত থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। এটি বিপদের সূচনা। ইন্টারনেট আসক্তি মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে এবং পরিবার ও সম্পর্কের বাইরেও মোবাইল দুনিয়া বড় হয়ে ওঠে, যা থেকে একসময় অবসাদ তৈরি হতে পারে।
সাবধান হওয়ার প্রয়োজন: মোবাইল ও ইন্টারনেট দুনিয়া নিয়ে ভাবনা এমন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে যখন আশেপাশের মানুষের গুরুত্ব কমে যায়। যদি দেখেন, বাড়ির মানুষগুলোর সঙ্গে সময় কাটাতে ইচ্ছে করছে না এবং সবসময় ফোন নিয়ে থাকতে মন চাইছে, তাহলে নিজেকেই বোঝাতে হবে, কাজটা ঠিক হচ্ছে না।
স্মার্টফোনে আসক্তির লক্ষণ কীভাবে চিনবেন
মোবাইল ফোন না পেলে যদি প্রবল রাগ হয়, মনে অশান্তি তৈরি হয় এবং ১০ মিনিটও ফোন ছাড়া থাকতে অসুবিধা হয়, তখন বুঝতে হবে আসক্তি গভীরে প্রবেশ করেছে। এমন হলে দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত হবে। প্রয়োজন হলে মনোবিদের পরামর্শ নিতে হবে।
স্মার্টফোন আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়: মোবাইল ছাড়া অন্য ভালো লাগার বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিন। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যান, সময় কাটান। পরিবারের অন্য সদস্যদের সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন। দিনে বেশ কিছু সময় শরীরচর্চা করুন, তবে মোবাইল দেখে নয়।
0 Comments