//

ড্রাইভিং লাইসেন্স: লিখিত পরীক্ষার কমন প্রশ্নাবলী ও উত্তর -২০২৪

 

BRTA লিখিত ড্রাইভিং পরীক্ষার ৮৫টি কমন প্রশ্ন ও সমাধান গাইড

ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে আগ্রহী? এই ব্লগে আমরা ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার সম্ভাব্য ৮৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও তাদের উত্তর উপস্থাপন করেছি। ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার স্ট্যান্ডার্ড ৮৫টি প্রশ্ন এবং তাদের উত্তর শিখুন এবং অন্যদের শেখার জন্য উৎসাহিত করুন।


ড্রাইভিং লাইসেন্স: লিখিত পরীক্ষার কমন প্রশ্নাবলী ও উত্তর

১. প্রশ্ন: মোটরযান কাকে বলে?
উত্তর: মোটরযান আইনে মোটরযান অর্থ এমন কোনো যন্ত্রচালিত যান, যার চালিকাশক্তি বাইরের বা ভিতরের কোনো উৎস থেকে সরবরাহ করা হয়।

২. প্রশ্ন: গাড়ি চালানোর আগে করণীয় কাজগুলো কী কী?
উত্তর:

  • ক. গাড়ির বৈধ কাগজপত্র যেমন রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ট্যাক্স টোকেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিমা সার্টিফিকেট, রুট পারমিট ইত্যাদি সঙ্গে রাখা।

  • খ. গাড়িতে জ্বালানি আছে কি না পরীক্ষা করা, না থাকলে প্রয়োজনীয় পরিমাণে নেওয়া।

  • গ. রেডিয়েটর ও ব্যাটারিতে পানি আছে কি না পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া।

  • ঘ. ব্যাটারি কানেকশন পরীক্ষা করা।

  • ঙ. লুব/ইঞ্জিন অয়েলের লেভেল ও ঘনত্ব পরীক্ষা করা, কম থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া।

  • চ. মাস্টার সিলিন্ডারের ব্রেক ফ্লুইড ও ব্রেক অয়েল পরীক্ষা করা, কম থাকলে নেওয়া।

  • ছ. গাড়ির ইঞ্জিন, লাইটিং সিস্টেম, ব্যাটারি, স্টিয়ারিং ইত্যাদি সঠিকভাবে কাজ করছে কি না এবং নাট-বোল্ট টাইট আছে কি না অর্থাৎ মোটরযানটি ত্রুটিমুক্ত আছে কি না পরীক্ষা করা।

  • জ. ব্রেক ও ক্লাচের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা।

  • ঝ. অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এবং ফাস্ট এইড বক্স গাড়িতে রাখা।

  • ঞ. গাড়ির বাইরের এবং ভিতরের বাতির অবস্থা, চাকা (টায়ার কন্ডিশন/হাওয়া/নাট/এলাইমেন্ট/রোটেশন/স্পেয়ার চাকা) পরীক্ষা করা।

৩. প্রশ্ন: মোটরযানের মেইনটেনেন্স বা রক্ষণাবেক্ষণ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: গাড়ি ত্রুটিমুক্ত রেখে দীর্ঘদিন সার্ভিস পাওয়ার জন্য প্রতিদিন যে মেরামত কাজ করা হয়, তাকে মোটরযানের মেইনটেনেন্স বলে।

৪. প্রশ্ন: একটি মোটরযানে প্রতিদিন কী কী মেইনটেনেন্স করতে হয়?
উত্তর: ২ নম্বর প্রশ্নের উত্তরের খ থেকে ঞ পর্যন্ত।

৫. প্রশ্ন: সার্ভিসিং বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: মোটরযানের ইঞ্জিন ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশের কার্যক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য নির্দিষ্ট সময় পরপর যে কাজগুলো করা হয়, তাকে সার্ভিসিং বলে।

০৬. প্রশ্ন: গাড়ি সার্ভিসিংয়ে কী কী কাজ করা হয়?
উত্তর:

  • ক. ইঞ্জিনের পুরাতন লুবঅয়েল (মবিল) ফেলে দিয়ে নতুন লুবঅয়েল দেওয়া। নতুন লুবঅয়েল দেওয়ার আগে ফ্লাশিং অয়েল দিয়ে ইঞ্জিন ফ্লাশ করা।

  • খ. ইঞ্জিন ও রেডিয়েটরের পানি ড্রেন আউট করে ডিটারজেন্ট ও ফ্লাশিং গ্যান দিয়ে পরিষ্কার করা, এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে পূর্ণ করা।

  • গ. ভারী মোটরযানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গ্রিজিং পয়েন্টে গ্রিজ গ্যান দিয়ে নতুন গ্রিজ দেওয়া।

  • ঘ. গাড়ির স্পেয়ার হুইলসহ প্রতিটি চাকায় সঠিক পরিমাণে হাওয়া দেওয়া।

  • ঙ. লুবঅয়েল (মবিল) ফিল্টার, ফুয়েল ফিল্টার এবং এয়ার ক্লিনার পরিবর্তন করা।

০৭. প্রশ্ন: গাড়ি চালানোর সময় কী কী কাগজপত্র গাড়ির সঙ্গে রাখা উচিত?
উত্তর:

  • ক. ড্রাইভিং লাইসেন্স

  • খ. রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ব্লু-বুক)

  • গ. ট্যাক্স টোকেন

  • ঘ. ইনসিওরেন্স সার্টিফিকেট

  • ঙ. ফিটনেস সার্টিফিকেট (মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)

  • চ. রুট পারমিট (মোটরসাইকেল এবং চালক ব্যতীত সর্বোচ্চ ৭ আসন বিশিষ্ট ব্যক্তিগত যাত্রীবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)

০৮. প্রশ্ন: রাস্তায় গাড়ির কাগজপত্র চেক করার অধিকার কারা রাখেন?
উত্তর: সার্জেন্ট বা সাব-ইনসপেক্টরের নিচে নয় এমন পুলিশ কর্মকর্তা, মোটরযান পরিদর্শক, বিআরটিএর কর্মকর্তা, এবং মোবাইল কোর্টের কর্মকর্তা।

০৯. প্রশ্ন: মোটরসাইকেলে হেলমেট পরিধান ও আরোহী বহন সম্পর্কিত আইন কী?
উত্তর: মোটরসাইকেলে চালক ব্যতীত একজন আরোহী বহন করা যাবে এবং উভয়কেই হেলমেট পরিধান করতে হবে (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ধারা-১০০)।

১০. প্রশ্ন: সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ কী কী?
উত্তর:

  • ক. অত্যধিক আত্মবিশ্বাস

  • খ. মাত্রাতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো

  • গ. অননুমোদিত ওভারটেকিং

  • ঘ. অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন

১১. প্রশ্ন: গাড়ি দুর্ঘটনার পর চালকের করণীয় কী?
উত্তর: আহত ব্যক্তির চিকিৎসা নিশ্চিত করা, প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতালে স্থানান্তর করা, এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিকটবর্তী থানায় দুর্ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট করা।

১২. প্রশ্ন: আইন অনুযায়ী গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা কত?
উত্তর:

  • হালকা মোটরযান ও মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭০ মাইল

  • মাঝারি বা ভারী যাত্রীবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫ মাইল

  • মাঝারি বা ভারী মালবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ মাইল

১৩. প্রশ্ন: মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স কী?
উত্তর: সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে মোটরযান চালানোর জন্য লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ দলিলই মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স।

১৪. প্রশ্ন: অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কাকে বলে?
উত্তর: যে-লাইসেন্স দিয়ে একজন চালক কারো বেতনভোগী কর্মচারী না হয়ে মোটরসাইকেল, হালকা মোটরযান এবং অন্যান্য মোটরযান (পরিবহনযান ব্যতীত) চালাতে পারে, তাকে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে।

১৫. প্রশ্ন: ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স কত?
উত্তর: পেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ২১ বছর এবং অপেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ১৮ বছর।

১৬. প্রশ্ন: কোন কোন ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে?
উত্তর: মৃগীরোগী, উন্মাদ বা পাগল, রাতকানারোগী, কুষ্ঠরোগী, হৃদরোগী, অতিরিক্ত মদ্যপব্যক্তি, বধিরব্যক্তি এবং বাহু বা পা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে অসুবিধা হয় এমন ব্যক্তি।

১৭. প্রশ্ন: হালকা মোটরযান কাকে বলে?
উত্তর: যে-মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাই ওজন ৬,০০০ পাউন্ড বা ২,৭২৭ কেজির অধিক নয়, তাকে হালকা মোটরযান বলে।

১৮. প্রশ্ন: মধ্যম বা মাঝারি মোটরযান কাকে বলে?
উত্তর: যে-মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাই ওজন ৬,০০০ পাউন্ড বা ২,৭২৭ কেজির অধিক কিন্তু ১৪,৫০০ পাউন্ড বা ৬,৫৯০ কেজির অধিক নয়, তাকে মধ্যম বা মাঝারি মোটরযান বলে।

১৯. প্রশ্ন: ভারী মোটরযান কাকে বলে?
উত্তর: যে-মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাই ওজন ১৪,৫০০ পাউন্ড বা ৬,৫৯০ কেজির অধিক, তাকে ভারী মোটরযান বলে।

২০. প্রশ্ন: প্রাইভেট সার্ভিস মোটরযান কাকে বলে?
উত্তর: ড্রাইভার ব্যতীত আটজনের বেশি যাত্রী বহনের উপযোগী যে-মোটরযান মালিকের পক্ষে তার ব্যবসা সম্পর্কিত কাজে এবং বিনা ভাড়ায় যাত্রী বহনের জন্য ব্যবহৃত হয়, তাকে প্রাইভেট সার্ভিস মোটরযান বলে।

২১. প্রশ্ন: ট্রাফিক সাইন বা রোড সাইন প্রধানত কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: ট্রাফিক সাইন বা চিহ্ন প্রধানত তিন প্রকার।

  • ক. বাধ্যতামূলক, যা প্রধানত বৃত্তাকৃতির হয়

  • খ. সতর্কতামূলক, যা প্রধানত ত্রিভুজাকৃতির হয়

  • গ. তথ্যমূলক, যা প্রধানত আয়তক্ষেত্রাকার হয়

২২. প্রশ্ন: লাল বৃত্তাকার সাইন কী নির্দেশনা প্রদর্শন করে?
উত্তর: নিষেধ বা করা যাবে না বা অবশ্যবর্জনীয় নির্দেশনা প্রদর্শন করে।

২৩. প্রশ্ন: নীল বৃত্তাকার সাইন কী নির্দেশনা প্রদর্শন করে?
উত্তর: করতে হবে বা অবশ্যপালনীয় নির্দেশনা প্রদর্শন করে।

২৪. প্রশ্ন: লাল ত্রিভুজাকৃতির সাইন কী নির্দেশনা প্রদর্শন করে?
উত্তর: সতর্ক হওয়ার নির্দেশনা প্রদর্শন করে।

২৫. প্রশ্ন: নীল রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?
উত্তর: সাধারণ তথ্যমূলক সাইন।

২৬. প্রশ্ন: সবুজ রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?
উত্তর: পথ নির্দেশক তথ্যমূলক সাইন, যা জাতীয় মহাসড়কে ব্যবহৃত হয়।

২৭. প্রশ্ন: কালো বর্ডারের সাদা রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?
উত্তর: এটিও পথ নির্দেশক তথ্যমূলক সাইন, যা মহাসড়ক ব্যতীত অন্যান্য সড়কে ব্যবহৃত হয়।

২৮. প্রশ্ন: ট্রাফিক সিগন্যাল বা সংকেত কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: তিন প্রকার:

  • ক. বাহুর সংকেত

  • খ. আলোর সংকেত

  • গ. শব্দ সংকেত

২৯. প্রশ্ন: ট্রাফিক লাইট সিগন্যালের চক্র বা অনুক্রম কী কী?
উত্তর: লাল-সবুজ-হলুদ এবং পুনরায় লাল।

৩০. প্রশ্ন: লাল, সবুজ ও হলুদ বাতি কী নির্দেশনা প্রদর্শন করে?
উত্তর: লালবাতি জ্বললে গাড়িকে ‘থামুন লাইন’ এর পেছনে থামাতে হবে, সবুজ বাতি জ্বললে গাড়ি নিয়ে অগ্রসর হওয়া যাবে, এবং হলুদ বাতি জ্বললে গাড়ি থামানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

৩১. প্রশ্ন: নিরাপদ দূরত্ব বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: সামনের গাড়ির সাথে সংঘর্ষ এড়াতে পেছনের গাড়িকে নিরাপদে থামানোর জন্য যে পরিমাণ দূরত্ব বজায় রেখে গাড়ি চালাতে হয়, সেই পরিমাণ নিরাপদ দূরত্ব বলে।

৩২. প্রশ্ন: পাকা ও ভালো রাস্তায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চললে নিরাপদ দূরত্ব কত হবে?
উত্তর: ২৫ মিটার।

৩৩. প্রশ্ন: পাকা ও ভালো রাস্তায় ৫০ মাইল গতিতে গাড়ি চললে নিরাপদ দূরত্ব কত হবে?
উত্তর: ৫০ গজ বা ১৫০ ফুট।

৩৪. প্রশ্ন: লাল বৃত্তে ৫০ কি.মি. লেখা থাকলে কী বোঝায়?
উত্তর: গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৫০ কি.মি., অর্থাৎ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।

৩৫. প্রশ্ন: নীল বৃত্তে ঘণ্টায় ৫০ কি.মি. লেখা থাকলে কী বোঝায়?
উত্তর: সর্বনিম্ন গতিসীমা ঘণ্টায় ৫০ কি.মি., অর্থাৎ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের কম গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।

৩৬. প্রশ্ন: লাল বৃত্তের মধ্যে হর্ন আঁকা থাকলে কী বুঝায়?
উত্তর: হর্ন বাজানো নিষেধ।

৩৭. প্রশ্ন: লাল বৃত্তের ভিতরে একটি বড় বাসের ছবি থাকলে কী বুঝায়?
উত্তর: বড় বাস প্রবেশ নিষেধ।

৩৮. প্রশ্ন: লাল বৃত্তে একজন চলমান মানুষের ছবি আঁকা থাকলে কী বুঝায়?
উত্তর: পথচারী পারাপার নিষেধ।

৩৯. প্রশ্ন: লাল ত্রিভুজে একজন চলমান মানুষের ছবি আঁকা থাকলে কী বুঝায়?
উত্তর: সামনে পথচারী পারাপার, তাই সাবধান হতে হবে।

৪০. প্রশ্ন: লাল বৃত্তের ভিতর একটি লাল ও একটি কালো গাড়ি থাকলে কী বুঝায়?
উত্তর: ওভারটেকিং নিষেধ।

৪১. প্রশ্ন: আয়তক্ষেত্রে ‘চ’ লেখা থাকলে কী বুঝায়?
উত্তর: পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থান।

৪২. প্রশ্ন: কোন কোন স্থানে গাড়ির হর্ন বাজানো নিষেধ?
উত্তর: নীরব এলাকায় গাড়ির হর্ন বাজানো নিষেধ। হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত বা অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহের চতুর্দিকে ১০০ মিটার পর্যন্ত এলাকা নীরব এলাকা হিসাবে চিহ্নিত।

৪৩. প্রশ্ন: কোন কোন স্থানে ওভারটেক করা নিষেধ?
উত্তর: ক. ওভারটেকিং নিষেধ সম্বলিত সাইন থাকে এমন স্থানে, খ. জাংশনে, গ. ব্রিজ/কালভার্ট ও তার আগে পরে নির্দিষ্ট দূরত্ব, ঘ. সরু রাস্তায়, ঙ. হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায়।

৪৪. প্রশ্ন: কোন কোন স্থানে গাড়ি পার্ক করা নিষেধ?
উত্তর: ক. যেখানে পার্কিং নিষেধ বোর্ড আছে এমন স্থানে, খ. জাংশনে, গ. ব্রিজ/কালভার্টের ওপর, ঘ. সরু রাস্তায়, ঙ. হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায়, চ. পাহাড়ের ঢালে ও ঢালু রাস্তায়, ফুটপাত, পথচারী পারাপার এবং তার আশেপাশে, ছ. বাস স্টপেজ ও তার আশেপাশে এবং জ. রেলক্রসিং ও তার আশেপাশে।

৪৫. প্রশ্ন: গাড়ি রাস্তার কোনপাশ দিয়ে চলাচল করবে?
উত্তর: গাড়ি রাস্তার বামপাশ দিয়ে চলাচল করবে। যে-রাস্তায় একাধিক লেন থাকবে সেখানে বামপাশের লেনে ধীর গতির গাড়ি, আর ডানপাশের লেনে দ্রুত গতির গাড়ি চলাচল করবে।

৪৬. প্রশ্ন: কখন বামদিক দিয়ে ওভারটেক করা যায়?
উত্তর: যখন সামনের গাড়ি চালক ডানদিকে মোড় নেওয়ার ইচ্ছায় যথাযথ সংকেত দিয়ে রাস্তার মাঝামাঝি স্থানে যেতে থাকবেন তখনই পেছনের গাড়ির চালক বামদিক দিয়ে ওভারটেক করবেন।

৪৭. প্রশ্ন: চলন্ত অবস্থায় সামনের গাড়িকে অনুসরণ করার সময় কী কী বিষয় লক্ষ্য রাখা উচিত?
উত্তর: (ক) সামনের গাড়ির গতি (স্পিড) ও গতিবিধি, (খ) সামনের গাড়ি থামার সংকেত দিচ্ছে কি না, (গ) সামনের গাড়ি ডানে/বামে ঘুরার সংকেত দিচ্ছে কি না, (ঘ) সামনের গাড়ি হতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় থাকছে কি না।

৪৮. প্রশ্ন: রাস্তার পাশে সতর্কতামূলক ‘‘স্কুল/শিশু” সাইন বোর্ড থাকলে চালকের করণীয় কী?
উত্তর: (ক) গাড়ির গতি কমিয়ে রাস্তার দু-পাশে ভালোভাবে দেখে-শুনে সতর্কতার সাথে অগ্রসর হতে হবে। (খ) রাস্তা পারাপারের অপেক্ষায় কোনো শিশু থাকলে তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

৪৯. প্রশ্ন: গাড়ির গতি কমানোর জন্য চালক হাত দিয়ে কীভাবে সংকেত দিবেন?
উত্তর: চালক তার ডানহাত গাড়ির জানালা দিয়ে সোজাসুজি বের করে ধীরে ধীরে উপরে-নীচে উঠানামা করাতে থাকবেন।

৫০. প্রশ্ন: লেভেলক্রসিং বা রেলক্রসিং কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: লেভেলক্রসিং বা রেলক্রসিং ২ প্রকার। ক. রক্ষিত রেলক্রসিং বা পাহারাদার নিয়ন্ত্রিত রেলক্রসিং, খ. অরক্ষিত রেলক্রসিং বা পাহারাদারবিহীন রেলক্রসিং।

৫১. প্রশ্ন: রক্ষিত লেভেলক্রসিংয়ে চালকের কর্তব্য কী?
উত্তর: গাড়ির গতি কমিয়ে সতর্কতার সাথে সামনে আগাতে হবে। যদি রাস্তা বন্ধ থাকে তাহলে গাড়ি থামাতে হবে, আর খোলা থাকলে ডানেবামে ভালোভাবে দেখে অতিক্রম করতে হবে।

৫২. প্রশ্ন: অরক্ষিত লেভেলক্রসিংয়ে চালকের কর্তব্য কী?
উত্তর: গাড়ির গতি একদম কমিয়ে সতর্কতার সাথে সামনে আগাতে হবে, প্রয়োজনে লেভেলক্রসিংয়ের নিকট থামাতে হবে। এরপর ডানেবামে দেখে নিরাপদ মনে হলে অতিক্রম করতে হবে।

৫৩. প্রশ্ন: বিমানবন্দরের কাছে চালককে সতর্ক থাকতে হবে কেন?
উত্তর: (ক) বিমানের প্রচণ্ড শব্দে গাড়ির চালক হঠাৎ বিচলিত হতে পারেন, (খ) সাধারণ শ্রবণ ক্ষমতার ব্যাঘাত ঘটতে পারে, (গ) বিমানবন্দরে ভিভিআইপি/ভিআইপি বেশি চলাচল করে বিধায় এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয়।

৫৪. প্রশ্ন: মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীর হেলমেট ব্যবহার করা উচিত কেন?
উত্তর: মানুষের মাথা শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এখানে সামান্য আঘাত লাগলেই মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে। তাই দুর্ঘটনায় মানুষের মাথাকে রক্ষা করার জন্য হেলমেট ব্যবহার করা উচিত।

৫৫. প্রশ্ন: গাড়ির পেছনের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য কতক্ষণ পর পর লুকিং গ্লাস দেখতে হবে?
উত্তর: প্রতিমিনিটে ৬ থেকে ৮ বার।

৫৬. প্রশ্ন: পাহাড়ি রাস্তায় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়?
উত্তর: সামনের গাড়ি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ১ নং গিয়ারে বা ফার্স্ট গিয়ারে সতর্কতার সাথে ধীরে ধীরে ওপরে উঠতে হবে। পাহাড়ের চূড়ার কাছে গিয়ে আরো ধীরে উঠতে হবে, কারণ চূড়ায় দৃষ্টিসীমা অত্যন্ত সীমিত। নিচে নামার সময় গাড়ির গতি ক্রমে বাড়তে থাকে বিধায় সামনের গাড়ি থেকে বাড়তি দূরত্ব বজায় রেখে নামতে হবে। ওঠা-নামার সময় কোনোক্রমেই ওভারটেকিং করা যাবে না।

৫৭. প্রশ্ন: বৃষ্টির মধ্যে গাড়ি চালনার বিষয়ে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়?
উত্তর: বৃষ্টির সময় রাস্তা পিচ্ছিল থাকায় ব্রেক কম কাজ করে। এই কারণে বাড়তি সতর্কতা হিসাবে ধীর গতিতে (সাধারণ গতির চেয়ে অর্ধেক গতিতে) গাড়ি চালাতে হবে, যাতে ব্রেক প্রয়োগ করে অতি সহজেই গাড়ি থামানো যায়। অর্থাৎ ব্রেক প্রয়োগ করে গাড়ি যাতে অতি সহজেই থামানো বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেইরূপ ধীর গতিতে বৃষ্টির মধ্যে গাড়ি চালাতে হবে।

৫৮. প্রশ্ন: ব্রিজে ওঠার পূর্বে একজন চালকের করণীয় কী?
উত্তর: ব্রিজ বিশেষ করে উঁচু ব্রিজের অপরপ্রান্ত থেকে আগত গাড়ি সহজে দৃষ্টিগোচর হয় না বিধায় ব্রিজে ওঠার পূর্বে সতর্কতার সাথে গাড়ির গতি কমিয়ে উঠতে হবে। তাছাড়া, রাস্তার তুলনায় ব্রিজের প্রস্থ অনেক কম হয় বিধায় ব্রিজে কখনো ওভারটেকিং করা যাবে না।

৫৯. প্রশ্ন: পার্শ্বরাস্তা থেকে প্রধান রাস্তায় প্রবেশ করার সময় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়?
উত্তর: পার্শ্বরাস্তা বা ছোট রাস্তা থেকে প্রধান রাস্তায় প্রবেশ করার আগে গাড়ির গতি কমায়ে, প্রয়োজনে থামায়ে, প্রধান রাস্তার গাড়িকে নির্বিঘ্নে আগে যেতে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধান সড়কে গাড়ির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে সুযোগমত সতর্কতার সাথে প্রধান রাস্তায় প্রবেশ করতে হবে।

৬০. প্রশ্ন: রাস্তার ওপর প্রধানত কী কী ধরনের রোডমার্কিং অঙ্কিত থাকে?
উত্তর: রাস্তার ওপর প্রধানত ৩ ধরনের রোডমাকিং অঙ্কিত থাকে। ক. ভাঙা লাইন, যা অতিক্রম করা যায়। খ. একক অখন্ড লাইন, যা অতিক্রম করা নিষেধ, তবে প্রয়োজন বিশেষ অতিক্রম করা যায়। গ. দ্বৈত অখন্ড লাইন, যা অতিক্রম করা নিষেধ এবং আইনত দণ্ডনীয়। এই ধরনের লাইন দিয়ে ট্রাফিক আইল্যান্ড বা রাস্তার বিভক্তি বুঝায়।

৬১. প্রশ্ন: জেব্রাক্রসিংয়ে চালকের কর্তব্য কী?
উত্তর: জেব্রাক্রসিংয়ে পথচারীদের অবশ্যই আগে যেতে দিতে হবে এবং পথচারী যখন জেব্রাক্রসিং দিয়ে পারাপার হবে তখন গাড়িকে অবশ্যই তার আগে থামাতে হবে। জেব্রাক্রসিংয়ের ওপর গাড়িকে থামানো যাবে না বা রাখা যাবে না।

৬২. প্রশ্ন: কোন কোন গাড়িকে ওভারটেক করার সুযোগ দিতে হবে?
উত্তর: যে-গাড়ির গতি বেশি, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস ইত্যাদি জরুরি সার্ভিস, ভিভিআইপি গাড়ি ইত্যাদিকে।

৬৩. প্রশ্ন: হেড লাইট ফ্ল্যাশিং বা আপার ডিপার ব্যবহারের নিয়ম কী?
উত্তর: শহরের মধ্যে সাধারণত ‘লো-বিম বা ডিপার বা মৃদু বিম’ ব্যবহার করা হয়। রাতে কাছাকাছি গাড়ি না থাকলে অর্থাৎ বেশিদূর পর্যন্ত দেখার জন্য হাইওয়ে ও শহরের বাইরের রাস্তায় ‘হাই বা আপার বা তীক্ষ্ণ বিম’ ব্যবহার করা হয়। তবে, বিপরীত দিক থেকে আগত গাড়ি ১৫০ মিটারের মধ্যে চলে আসলে হাইবিম নিভিয়ে লো-বিম জ্বালাতে হবে। অর্থাৎ বিপরীত দিক হতে আগত কোনো গাড়িকে পাস/পার হওয়ার সময় লো-বিম জ্বালাতে হবে।

৬৪. প্রশ্ন: গাড়ির ব্রেক ফেল করলে করণীয় কী?
উত্তর: গাড়ির ব্রেক ফেল করলে প্রথমে অ্যাক্সিলারেটর থেকে পা সরিয়ে নিতে হবে। ম্যানুয়াল গিয়ার গাড়ির ক্ষেত্রে গিয়ার পরিবর্তন করে প্রথমে দ্বিতীয় গিয়ার ও পরে প্রথম গিয়ার ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে গাড়ির গতি অনেক কমে যাবে। এই পদ্ধতিতে গাড়ি থামানো সম্ভব না হলে রাস্তার আইল্যান্ড, ডিভাইডার, ফুটপাত বা সুবিধামত অন্যকিছুর সাথে ঠেকিয়ে গাড়ি থামাতে হবে। ঠেকানোর সময় যানমালের ক্ষয়ক্ষতি যেন না হয় বা কম হয় সেই দিকে সজাগ থাকতে হবে।

৬৫. প্রশ্ন: গাড়ির চাকা ফেটে গেলে করণীয় কী?
উত্তর: গাড়ির চাকা ফেটে গেলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। এই সময় গাড়ির চালককে স্টিয়ারিং দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে হবে এবং অ্যাক্সিলারেটর থেকে পা সরিয়ে ক্রমান্বয়ে গতি কমিয়ে আস্তে আস্তে ব্রেক করে গাড়ি থামাতে হবে। চলন্ত অবস্থায় গাড়ির চাকা ফেটে গেলে সাথে সাথে ব্রেক করবেন না। এতে গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে।

৬৬. প্রশ্ন: হ্যাজার্ড বা বিপদ সংকেত বাতি কী?
উত্তর: প্রতিটি গাড়ির সামনে ও পিছনে উভয়পাশের কর্ণারে একজোড়া করে মোট দু-জোড়া ইন্ডিকেটর বাতি থাকে। এই চারটি ইন্ডিকেটর বাতি সবগুলো একসাথে জ্বললে এবং নিভলে তাকে হ্যাজার্ড বা বিপদ সংকেত বাতি বলে। বিপজ্জনক মুহূর্তে, গাড়ি বিকল হলে এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এই বাতিগুলো ব্যবহার করা হয়।

৬৭. প্রশ্ন: গাড়ির ড্যাশবোর্ডে কী কী ইন্সট্রুমেন্ট থাকে?
উত্তর: ক. স্পিডোমিটার- গাড়ি কত বেগে চলছে তা দেখায়। খ. ওডোমিটার – তৈরির প্রথম থেকে গাড়ি কত কিলোমিটার বা মাইল চলছে তা দেখায়। গ. ট্রিপমিটার- এক ট্রিপে গাড়ি কত কিলোমিটার/মাইল চলে তা দেখায়। ঘ. টেম্পারেচার গেজ- ইঞ্জিনের তাপমাত্রা দেখায়। ঙ. ফুয়েল গেজ- গাড়ির তেলের পরিমাণ দেখায়।

৬৮. প্রশ্ন: গাড়িতে কী কী লাইট থাকে?
উত্তর: ক. হেডলাইট, খ. পার্কলাইট, গ. ব্রেকলাইট, ঘ. রিভার্সলাইট, ঙ. ইন্ডিকেটরলাইট, চ. ফগলাইট এবং ছ. নাম্বারপ্লেট লাইট।

৬৯. প্রশ্ন: পাহাড়ি ও ঢাল/চূড়ায় রাস্তায় গাড়ি কোন গিয়ারে চালাতে হয়?
উত্তর: ফার্স্ট গিয়ারে। কারণ ফার্স্ট গিয়ারে গাড়ি চালানোর জন্য ইঞ্জিনের শক্তি বেশি প্রয়োজন হয়।

৭০. প্রশ্ন: গাড়ির সামনে ও পিছনে লাল রঙের ইংরেজি “খ” অক্ষরটি বড় আকারে লেখা থাকলে এর দ্বারা কী বুঝায়?
উত্তর: এটি একটি শিক্ষানবিশ ড্রাইভার চালিত গাড়ি। এই গাড়ি হতে সাবধান থাকতে হবে।

৭১. প্রশ্ন: শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি চালানো বৈধ কী?
উত্তর: ইনসট্রাক্টরের উপস্থিতিতে ডুয়েল সিস্টেম (ডাবল স্টিয়ারিং ও ব্রেক) সম্বলিত গাড়ি নিয়ে সামনে ও পিছনে “খ” লেখা প্রদর্শন করে নির্ধারিত এলাকায় চালানো বৈধ।

৭২. প্রশ্ন: ফোরহুইলড্রাইভ গাড়ি বলতে কী বুঝায়?
উত্তর: সাধারণত ইঞ্জিন হতে গাড়ির পেছনের দু-চাকায় পাওয়ার (ক্ষমতা) সরবরাহ হয়ে থাকে। বিশেষ প্রয়োজনে যে-গাড়ির চারটি চাকায় (সামনের ও পিছনের) পাওয়ার সরবরাহ করা হয়, তাকে ফোরহুইলড্রাইভ গাড়ি বলে।

৭৩. প্রশ্ন: ফোরহুইলড্রাইভ কখন প্রয়োগ করতে হয়?
উত্তর: ভালো রাস্তাতে চলার সময় শুধুমাত্র পেছনের দু-চাকাতে ড্রাইভ দেওয়া হয়। কিন্তু পিচ্ছিল, কর্দমাক্ত রাস্তায় চলার সময় চার চাকাতে ড্রাইভ দিতে হয়।

৭৪. প্রশ্ন: টুলবক্স কী?
উত্তর: টুলবক্স হচ্ছে যন্ত্রপাতির বাক্স, যা গাড়ির সঙ্গে রাখা হয়। মোটরযান জরুরি মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল টুলবক্সে রাখা হয়।

৭৫. প্রশ্ন: ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত গাড়ি চালালে বা চালানোর অনুমতি দিলে শাস্তি কী?
উত্তর: সর্বোচ্চ ৪ মাস কারাদণ্ড অথবা ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৩৮ ধারা)। এই ক্ষেত্রে মালিক ও চালক উভয়েই দণ্ডিত হতে পারেন।

৭৬. প্রশ্ন: গাড়িতে নিষিদ্ধ হর্ন অথবা উচ্চশব্দ উৎপাদনকারী যন্ত্র সংযোজন ও তা ব্যবহার করলে শাস্তি কী?
উত্তর: ১০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৩৯ ধারা)।

৭৭. প্রশ্ন: রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট ও রুটপারমিট ব্যতীত গাড়ি চালালে বা চালানোর অনুমতি দিলে শাস্তি কী?
উত্তর: প্রথমবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৩ মাস কারাদণ্ড অথবা ২০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়দণ্ড। দ্বিতীয়বার বা পরবর্তী সময়ের জন্য সর্বোচ্চ ৬ মাস কারাদণ্ড অথবা ৫০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়দণ্ড (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৫২ ধারা)। এই ক্ষেত্রে মালিক ও চালক উভয়েই দণ্ডিত হতে পারেন।

৭৮. প্রশ্ন: মদ্যপ বা মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালনার শাস্তি কী?
উত্তর: সর্বোচ্চ ৩ মাস কারাদণ্ড বা ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড। পরবর্তী সময়ে প্রতিবারের জন্য সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড এবং নির্দিষ্ট মেয়াদে ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৪৪ ধারা)।

৭৯. প্রশ্ন: নির্ধারিত গতির চেয়ে অধিক বা দ্রুত গতিতে গাড়ি চালনার শাস্তি কী?
উত্তর: প্রথমবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ দিন কারাদণ্ড বা ৩০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড। পরবর্তীতে একই অপরাধ করলে সর্বোচ্চ ৩ মাস কারাদণ্ড বা ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের কার্যকারিতা ১ মাসের জন্য স্থগিত (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৪২ ধারা)।

৮০. প্রশ্ন: বেপরোয়া ও বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালনার শাস্তি কী?
উত্তর: সর্বোচ্চ ৬ মাস কারাদণ্ড বা ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং যে-কোনো মেয়াদের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্সের কার্যকারিতা স্থগিত (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৪৩ ধারা)।

৮১. প্রশ্ন: ক্ষতিকর ধোঁয়া নির্গত গাড়ি চালনার শাস্তি কী?
উত্তর: ২০০ টাকা জরিমানা (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ধারা-১৫০)।

৮২. প্রশ্ন: নির্ধারিত ওজন সীমার অধিক ওজন বহন করে গাড়ি চালালে বা চালানোর অনুমতি দিলে শাস্তি কী?
উত্তর: প্রথমবার ১,০০০ পর্যন্ত জরিমানা এবং পরবর্তী সময়ে ৬ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ২,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়দণ্ড (ধারা-১৫৪)। এই ক্ষেত্রে মালিক ও চালক উভয়েই দণ্ডিত হতে পারেন।

৮৩. প্রশ্ন: ইনসিওরেন্স বিহীন অবস্থায় গাড়ি চালনার শাস্তি কী?
উত্তর: ২,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ধারা-১৫৫)।

৮৪. প্রশ্ন: প্রকাশ্য সড়কে অথবা প্রকাশ্য স্থানে মোটরযান রেখে মেরামত করলে বা কোনো যন্ত্রাংশ বা দ্রব্য বিক্রয়ের জন্য সড়কে রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে শাস্তি কী?
উত্তর: সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা জরিমানা। অনুরূপ মোটরযান অথবা খুচরা যন্ত্র বা জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা যাবে (ধারা-১৫৭)।

৮৫. প্রশ্ন: ফুয়েল গেজের কাজ কী?
উত্তর: ফুয়েল বা জ্বালানি ট্যাংকে কী পরিমাণ জ্বালনি আছে তা ফুয়েল গেজের মাধ্যমে জানা যায়।


About jsr reviews

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.

0 comments:

Post a Comment